OrdinaryITPostAd

কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী

আপনি কি কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী এ বিষয়ে জানার জন্য আর্টিকেলটি পড়া শুরু করেছেন? তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন। আজ আমি এই আর্টিকেল জুড়ে কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী এ বিষয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যখন কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী এ বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে জানতে পারবেন তখন আপনি নিজে থেকেই অনেকটা সতর্ক হতে পারবেন।
কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী
কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী এ বিষয়ে জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী

কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী

আজ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। শিশু বৃদ্ধ যে কোন বয়সের মানুষেরই এই কিডনির সমস্যা হয়ে থাকে সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কিডনি সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কিডনির সমস্যা হলে কোন লক্ষণ বোঝা যায় না। কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী আরো বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।  

কিডনি নষ্ট হলে যেসব সমস্যা গুলো দেখা দেয় খিদা লাগে না, খেতে ইচ্ছা করে না, বমি বমি ভাব এবং শরীর খুব দুর্বল লাগে, কোন কাজে কোন কিছুতে মন বসে না, চোখে মুখে পানি আসা, শরীর হাত পা পায়ের গোড়ালি ফুলে যাওয়া, শরীরে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, ফেনাযুক্ত পেশাব, লাল রং পেশাবের সঙ্গে গন্ধ, তার সাথে যদি দেখেন যে চোখ মুখ ফুলে যাচ্ছে তাহলে মনে করতে হবে এটা কিডনির সমস্যা। কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

যদি দেখেন পেশাব করতে জ্বালাপোড়া হয়, ব্যথা হয়, তলপেটে ব্যথা পেশাবে রক্ত যায় বা কোমরে দুই পাশে ব্যথা, কাঁপুনি সহ খুব জ্বর আসছে তাহলে এটা প্রস্রাবে সাথে কিডনির আক্রমণের লক্ষণ কোন ইনফেকশন কারণে আবার নাভির উল্টোদিকে পিঠের যে শিরা আছে তার দুই পাশে তীব্র ব্যথা আবার সেই ব্যথাটা নিচের দিকে এসে জরায়ুর সে পর্যন্ত চলে যাচ্ছে ব্যথাটা এত তীব্র যে ব্যাথার চোটে গড়াগড়ি সাথে বমি হচ্ছে এটা কিডনির পাথরের সমস্যার হওয়ার লক্ষণ। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী সে বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন।

কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। মানবদেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে কিডনি, মানুষের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা মধ্যে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে কিডনি ড্যামেজ। আসুন তাহলে জেনে নেই কিডনি ড্যামেজের যে লক্ষণ গুলো নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হবে, শরীর মাথা ঘোরা ও শরীর অনেক দুর্বল এবং অমনোযোগী হওয়া, শরীরে অ্যালার্জি, গ্যাস, চুলকানি মত নানা রকম অসুখ দেখা দেওয়া। 

আরো পড়ুনঃ পা ফাটা থেকে মুক্তির ১৫টি উপায় - পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ

চোখের পাতা, মুখ ও হাত পায়ের গোড়ালি এবং শরীর ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। খেতে ইচ্ছা করে না খাবারের রুচি নাই খাবার দেখলে বমি বমি লাগে, প্রসাবে জ্বালাপোড়া করা, তলপেটে ব্যথা, অতিরিক্ত জ্বর হওয়া, পিঠের পাঁজর এবং জরায়ুর নিচে তলপেট ব্যথা হওয়া এই সমস্ত কারণ দেখা দিলে বুঝতে হবে এগুলো কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ এবং এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ গুলো কি।

কিডনি বিকল হওয়ার লক্ষণ

কিডনি বিকল হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে আজ আমি আপনাদেরকে কিছু তথ্য দিব। কিডনি বিকল হওয়ার কারনে সাধারণত যেগুলো লক্ষণ হয়ে থাকে ডায়রিয়া বা বমি, অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণ যেগুলো কারণে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হয় যেমন অ্যাক্সিডেন্ট, আমাদের মেয়েদের বাচ্চা হওয়ার সময় বা গর্ভপাততে ও  প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। 

এসব রক্ত ক্ষরণের কারণে যদি রক্ত চাপ কম হয়ে যায় তাদের কিডনি বিকল হতে পারে। আমরা যখন ব্যথার ওষুধ খায় বেশি পাওয়ারের অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে কিডনি বিকল হয়। আবার গলা ব্যথা বা নিমনিয়া হলে বা বয়স্ক লোকদের রক্তের ইনফেকশন যদি ছড়িয়ে যায় এসব কারণও কিডনির বিকল হয়। 

আরো পড়ুনঃ লেবুর ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতার বিস্তারিত বিশ্লেষণ

সেগুলো নিয়েও অনেকে আইসিওতে ভর্তি হয়ে থাকে। শিশুদের ওজন কম থাকলে যদি তাদের ডায়রিয়া বা বমি হয় আবার বয়স্ক লোকদেরও হতে পারে তাহলে খেয়াল করতে হবে যে ছয় ঘন্টার ভিতরে প্রসাব হচ্ছে কিনা যদি ছয় ঘণ্টার মধ্যে পেশাব না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে কিডনি বিকল হয়েছে। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিডনি বিকল হওয়ার লক্ষণ বা কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী।

কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ

আজ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সঙ্গে কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ প্রথমে ঘনঘন প্রসাব লাগবে, প্রসাব করে আসার পর আবার প্রসাব লাগবে, প্রসাব সঙ্গে জ্বালাপোড়া হবে এবং প্রসাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে কিংবা প্রসাব দুর্গন্ধ হবে, ফেনাযুক্ত পেশাব, শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে গেলে কাঁপুনি দিয়ে তীব্র জ্বর আসতে পারে।

আরো পড়ুনঃ মসুর ডালের ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আপার ট্রাক্ট ইনফেকশন হলে একটা মানুষের জীবন পর্যন্ত যেতে পারে। এই ইনফেকশনটা খুবই বিপদজনক আপার ট্রাক্ট ইনফেকশনে একটা রোগীর খুবই তীব্র কাঁপুনি সহ জ্বর আসে পাজরের হাড়ের নিচে যেখানে কিডনি থাকে কিডনির ভিতরে যদি ইনফেকশনটা চলে যায় সেই ক্ষেত্রে প্রচন্ড ব্যথা হতে শুরু হয়। যদি আপনার বারবার বাথরুম লাগে পেশাবে জ্বালাপোড়া হয় জ্বর আসে তাহলে এটা খুবই বিপদজনক দ্রুত ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিবেন। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো বুঝতে পেরেছেন।

উপসংহার

সবশেষে এ কথা বলে শেষ করবো যে আমাদের সচেতনতাই আমাদেরকে বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা করবে। উক্ত আর্টিকেলটিতে আমি কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ গুলো কী কী এবং কিডনি রোগের বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩