আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন
আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সেই বিষয়টি অবশ্যই আপনাদের জেনে রাখা উচিত। আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন এই বিষয়টি জানা থাকলে স্কিন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। তাই আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সেটি জানতে পুরো পোস্টটি পড়ে ফেলুন।
স্কিন ক্যান্সার অনেক সময় নীরব ঘাতক হিসেবে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা না থাকার কারণে আমাদের শরীর স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে কিনা আমরা বুঝতে পারি না। আজ এই পোস্টটিতে আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সেই কৌশল সমূহ সহজ ভাষায় তুলে ধরবো। সুতরাং, স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা বুঝতে পারার কৌশলগুলো জানার জন্য এই সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনাদের অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্র - আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন জেনে নিন
স্কিন ক্যান্সার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা
আমাদের দেহে যদি ক্ষতিকর কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং তার লক্ষণসমূহ যদি আমাদের স্কিনের অস্বাভাবিকতার মাধ্যমে প্রকাশিত হয় তবে সেই রোগটিকে আমরা স্কিন ক্যান্সার বলে থাকি। কারো দেহে স্কিন ক্যান্সারের জীবাণু সংক্রমিত হলে এটি অত সহজে সনাক্ত করা যায় না। তবে আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সেটি কিছু লক্ষণ দেখলে আপনারা আন্দাজ করতে পারবেন। তাই স্কিনের যে কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলে সেটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।
স্কিন ক্যান্সারের যাবতীয় লক্ষণ সমূহ
আমাদের শরীরে কোন রোগ বাসা বাঁধলে অবশ্যই সেটি কিছু লক্ষণ প্রকাশ করে। কিন্তু স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো প্রথমে অত সহজে বুঝতে পারা যায় না। তবে আপনি যদি ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত থাকেন তবে স্কিন ক্যান্সার দেহে বাসা বাঁধলে সেটি অনেকটাই আন্দাজ করতে পারবেন। আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সেই কৌশলগুলো এখন আপনাদের সামনে বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপন করব।
- আপনার শরীরের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের গোল গোল দাগ দেখা দিবে। অনেক সময় সেই দাগ গোলাপি, বাদামী, লাল, কালো ইত্যাদি বর্ণ ধারণ করতে পারে। তাই শরীরে বিভিন্ন দাগ দেখে সেটিকে স্কিন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শনাক্ত করা যেতে পারে।
- ত্বকের যে সকল স্থানে দাগ দেখা দিবে সেসব স্থানে যদি অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হয় তবে সেটিও স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
- আপনার শরীরে আঁচিল থেকে থাকলে তার রং পরিবর্তন হচ্ছে কিনা বা সেটি আকারে অত্যাধিক বড় হয়ে যাচ্ছে কিনা সে বিষয়টিও নজরে রাখুন।
- ওজন হ্রাস পাওয়া, চামড়া অত্যাধিক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত চুল পড়ে যাওয়া, মুখের রুচি কমে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- কেউ যদি স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তবে ঠোঁটের নিচে ব্রনের দাগ ব্যতীত অন্য একধরনের দাগ সৃষ্টি হতে পারে। যদিও এটি অনেক সময় এনজাইমের ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়ে থাকে।
- ত্বকে যদি লালচে ভাব বা লাল ফোসকা পড়ে কিংবা ফুসকুড়ি হতে দেখা যায়, তবে এটি স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ কিনা সেটি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- সর্বোপরি ত্বকের যেকোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলে সেটা স্কিন ক্যান্সারের কারণে হচ্ছে কিনা সেটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। সুতরাং, আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন তথা স্কিন ক্যান্সার চিহ্নিত করার কৌশলগুলো আপনারা জেনে নিলেন।
স্কিন ক্যান্সার হওয়ার বহুবিধ কারণ
পোস্টের পূর্ববর্তী অংশ হতে আপনারা আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। কিন্তু স্কিন ক্যান্সার হওয়ার পেছনে যে সকল কারণ প্রধানত দায়ী সেইসব কারণগুলো এবার আপনাদের সামনে খোলাসা করবো।
- স্কিন ক্যান্সার হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব। আপনি যদি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে অতিরিক্ত ঘোরাফেরা করেন তবে আপনারও স্কিন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাবে।
- পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের যদি স্কিন ক্যান্সার হয়ে থাকে, তবে আপনার দেহেও স্কিন ক্যান্সারের জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। কারণ স্কিন ক্যান্সার হলো অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি রোগ যা অতি দ্রুত একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে সংক্রমিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে।
- যাদের শরীরে মেলানিন এর পরিমাণ কম বিশেষ করে শ্বেতাঙ্গদের স্কিন ক্যান্সার বেশি হয়ে থাকে।শ্বেতাঙ্গরা অনেকেই সান বাথে (রোদে গোসল) অভ্যস্ত থাকে ফলে তাদের দেহে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব ডাইরেক্ট শোষিত হয়। এ কারণেই তাদের স্কিন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
- যাদের রূপচর্চা করার জন্য মেকআপ করার প্রবণতা রয়েছে তাদের মধ্যেও স্কিন ক্যান্সার হওয়ার ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে। কারণ মেকআপে ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিক্যাল ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দীর্ঘ সময় ধরে মেকআপ ত্বকে থাকলে এটি ভবিষ্যতে স্কিন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
- বিভিন্ন নন ব্রান্ডের ভুয়া কসমেটিকস ত্বকে ব্যবহার করলে সেগুলো ত্বকের অনেক ক্ষতি করে ফেলে। এমনকি এসকল ক্ষতিকর কসমেটিক্স এর প্রভাবে স্কিন ক্যান্সারও হতে পারে।
- পানি আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। কিন্তু সেই পানিতে যদি আর্সেনিক মিশ্রিত থাকে তবে তা দেহ ত্বকের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক। যারা আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে থাকে, তাদের স্কিন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সেই বিষয়টি এই কারণগুলো জানার পরে আপনাদের সামনে আরো সুস্পষ্ট হয়ে গেল।
স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
স্কিন ক্যান্সারে মৃত্যুর হারও কিন্তু নেহায়েত কম নয়। আপনি যদি স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তবে অবশ্যই ভালো মানের ডাক্তার দেখিয়ে আধুনিক ট্রিটমেন্ট গ্রহণ করুন। আর আমাদের শরীরে যেন কখনো স্কিন ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগ বাসা বাঁধতে না পারে সেজন্য স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় জেনে রাখা জরুরী। আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সেই বিষয়টি আপনারা অলরেডি জেনেছেন। এবার স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধের কিছু উপায় জেনে ফেলুন।
- অযথা রোদে ঘোরাফেরা করবেন না। প্রচন্ড রোদে বাহিরে যাওয়ার সময় অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন। এতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি ত্বকে স্পর্শ করবে না।
- প্রখর রোদে বের হওয়ার সময় অবশ্যই ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। শরীরের যেসব অংশে সরাসরি রোদের আলো পড়তে পারে সে সকল স্থানে ভালোভাবে সানস্ক্রিন মেখে তারপর বাহিরে যান।
- আর্সেনিক যুক্ত পানি পান থেকে বিরত থাকুন। সর্বদা পরিশুদ্ধ পানি পান করুন। এটি ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
- ত্বকে কোনো ক্ষতিকর মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করবেন না। আর কখনো ত্বকে দীর্ঘ সময় মেকআপ রাখবেন না বরং সেটি তুলে ফেলুন।
- ত্বকে সবসময় ভালো ব্র্যান্ডের কসমেটিকস ইউজ করুন যেন কসমেটিকসে থাকা কেমিক্যাল ত্বকের কোনো ক্ষতি না করে ফেলে।
- সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করুন। নিয়মিত কাপড়-চোপড়, বিছানা ধুয়ে দিন এবং গোসল করুন। এতে করে ক্ষতিকর রোগ জীবাণু আপনার ত্বকে বাসা বাঁধতে পারবে না। আর আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন এই বিষয়টি যদি এখনো না জেনে থাকেন তবে পোস্টের পূর্ববর্তী অংশ আবারও পড়ে ফেলুন।
ইতি কথা
প্রিয় বন্ধুরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তবে আপনার স্কিন ক্যান্সার হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন তার কৌশলসমূহ অবশ্যই জেনে ফেলেছেন। একটি বিষয় আপনাদের সামনে স্পষ্ট হয়েছে যে, স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে আগাম ধারনা থাকলে স্কিন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব।
অনেকে ত্বকের অস্বাভাবিক অবস্থা দেখেও বিষয়টিকে অতটা গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ত্বকের যেকোনো অস্বাভাবিক অবস্থায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। সচেতনতাই পারে স্কিন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক ব্যাধি থেকে আমাদের মুক্ত রাখতে। পোস্টটি উপকারী মনে হলে এখনই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও স্কিন ক্যান্সারের ব্যাপারে সতর্ক করুন। প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য বিষয়ক আপডেটেড পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। @23891
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট ভাইয়া
very fantastic post vi
Ok thanks
This post is very helpful for us.
Thank you very much
We should care our skill very carefully
R8
Somoi upojogi post. Nice
Thank You very much