শিশুর রক্তের কোষ অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির ফলে শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। এই পোস্টে শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। শিশুদের মধ্যে যেই ব্লাড ক্যান্সার হয় সেটি প্রাপ্তবয়স্ক লোকদের থেকে ভিন্ন হয়। এই ব্লাড ক্যান্সার সাধারণ নয় বলে শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ কি জেনে নিন।
ব্লাড ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরনের ধরন ও প্রকারভেদ রয়েছে। কিন্তু শিশুদের মধ্যে যেই ব্লাড ক্যান্সার দেখা যায় তা খুবই জটিল প্রকৃতির হয় যা খুব সহজেই সেরে যায় না। শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ আপনার জানা থাকলে নির্ণয় করতে অনেক সুবিধা হতে পারে। লিউকেমিয়া এমন একটি রোগ যা শিশুদের মধ্যে বেশি হয় বলে নিরাময় জানাটা গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিলে অনেক সময় জেনেটিক মিউটেশনের জন্য হতে পারে। এছাড়াও কিছু ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ব্লাড ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে যেমন এইচআইভি ভাইরাস। অথবা শিশুরা যদি কোনো কারণে রেডিয়েশন এর মুখোমুখি হয় তাহলে শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
শিশুর বাবা মা যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকে তাহলে শিশুর ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে মায়েরা যদি ভুল খাদ্যাভাস করে থাকেন এবং শিশুকে অস্বাস্থ্যকর ভাবে খাদ্যাভাস করিয়ে থাকেন, তাহলে ব্লাড ক্যান্সারের আশঙ্কা থেকে যায়। যদি হেপাটাইটিস বি, হিউম্যান হারপিস ইত্যাদি ভাইরাসে সংক্রমিত হলে তাহলে শিশুর ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ খুবই জটিল এবং দুরারোগ্য একটি রোগ। শিশুর রক্তের শ্বেত রক্তকণিকা গুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। বিশেষ করে এই ব্লাড ক্যান্সার বয়স্কদের থেকে শিশুদের অনেক বেশি হয় তবে এই রোগের হার বয়স্কদের থেকে শিশুদের কেন অতিমাত্রায় হয় তা এখনো জানা যায়নি।
প্রাথমিকভাবে যদি শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ধরা পড়ে তাহলে এর কিছু বিষয় রয়েছে। শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ কোনগুলো প্রকাশ পেলে আপনি বুঝতে পারবেন ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে চলুন সেইগুলো জেনে আসি।
১। খিঁচুনি হয়ে জ্ঞান হারানোঃ
যখন একটি শিশু লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যায় তখন তার মস্তিষ্ক সংক্রমিত হয়ে যায় যার ফলে শিশুটি বারবার তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে এবং মাঝে মাঝে তার কিছু নিয়ম হতে পারে সেই সাথে শিশুটির মাথায় প্রচন্ড ব্যথাও করতেও পারে। মাথাব্যথা হওয়ার সাথে সাথে বমি বমি ভাব হবে এবং দৃষ্টিশক্তি খুবই ক্ষীণ হতে থাকবে।
২। লাল লাল ফুসকুড়ি উঠাঃ
শরীরে শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এর সমস্যা দেখা দিলে লাল লাল ফুসকুড়ি উঠতে দেখা যেতে পারে। কারণ এখানে অ্যাকিউট মায়লোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া ব্লাড ক্যান্সারের কারণেই হয়ে থাকে। শিশুর শরীরে অনেক বেশি চুলকানি হয় ধীরে ধীরে লাল লাল ফুসকুড়ি উঠতে থাকে এবং অনেক রেশও দেখা যায়।
৩। দাঁতের মাড়ির সমস্যাঃ
অনেক সময় শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিলে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পরতে দেখা যায়। দাঁতের মাড়ি ফোলে যেতে থাকে এবং প্রচন্ড ব্যথা হয়। পরবর্তীতে দাঁতের মাড়ি থেকে এই রক্ত ঝরে পড়ে। এটি ব্লাড ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে যা খুব জটিল হয়।
৪। শ্বাসকষ্ট হওয়াঃ
শিশুদের লিউকেমিয়া সমস্যা হলে গলার থাইমাস গ্ল্যান্ড অনেক জটিলভাবে সংক্রমিত হয়। এই সংক্রমণের ফলে শিশুদের বেশিরভাগ সময়ই কাশি ও সর্দি লেগে থাকে। কাশি ও সর্দি যদি প্রতিনিয়ত হতেই থাকে, তাহলে একসময় শ্বাসকষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের সমস্যা হলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে।
৫। রক্তে হিমোগ্লোবিন অতিমাত্রায় কমে যাওয়াঃ
শিশুর হঠাৎ করেই যদি রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। অনেক সময় দেখা যায় যারা অভিভাবক রয়েছেন তারা দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করেন যে, শিশুর কি ধরনের অবস্থা দেখা যায়।
যদি আপনি ভালোভাবে খেয়াল করে দেখেন অনেক সময় শিশুর চামড়া ফ্যাকাশে হতে থাকে এবং সঙ্গে সঙ্গে এইরকম সমস্যা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। আক্রান্ত হলে শিশুদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পঁচানব্বই শতাংশেরও বেশি কমে যেতে পারে।
৬। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়াঃ
হঠাৎ করেই শিশুরা যদি কোন আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অথবা অল্প কোন ক্ষত হয়ে ব্যথা পেলে যদি অনেক বেশি রক্তপাত হয় তাহলে বুঝতে হবে শিশুটি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। কারণ সাধারণভাবে যদি কেউ অল্প ব্যথা পায়, তাহলে সেই অনুপাতে রক্ত কম বের হবে।
কিন্তু লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুর ঠিক তার উল্টোটি হয় অর্থাৎ অনেক বেশি রক্তপাত হয় সহজে থামতে চায় না। সেইক্ষেত্রে তার ক্ষতস্থানটি সেরে উঠতে অনেক সময় লাগে, তার রক্তক্ষরণের পাশাপাশি গলার নিচের অংশও ফোলে উঠতে পারে।
৭। শরীরে ঘা না শুকানোঃ
যদি কোনো কারণে শরীরে ঘা হয় আর সেই ঘা যদি সহজে শুকাতে না চায়, তাহলে শিশুটির ব্লাড ক্যান্সার অর্থাৎ লিউকেমিয়া আক্রান্ত হয়েছে ধরে নিতে হবে। এই ধরনের সমস্যা হলে শিশুকে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা করতে হবে। কারণ যত তাড়াতাড়ি শিশুটির লিউকেমিয়া ধরা পড়বে তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
৮। হাড়ে ব্যথা করাঃ
শিশুর কনুই যদি হঠাৎ করে ফোলে ওঠে অথবা হাঁটুতে যদি কোনো কারণে ব্যথা অনুভব করতে থাকে। তাহলে এই সমস্যাটি খুবই সমস্যায় ফেলতে পারে, কারণ সাধারণভাবে শিশুদের এই ধরনের সমস্যা হয় না। যদি এই ধরনের সমস্যা হয় তাহলে খুব শীঘ্রই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হয়ে নেয়া উচিত যে ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে কিনা।
৯। ঘন ঘন জ্বর হওয়াঃ
শিশুর যদি ঘন ঘন জ্বর হওয়ার সমস্যা নিয়মিত থেকেই থাকে, তাহলে এটি কখনোই ভালো কোন লক্ষণ নয়। বিশেষ করে এটিকে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। কারণ এই ঘন ঘন জ্বর হওয়া শুধু শিশুদের লক্ষণের মধ্যেই পড়ে না, বড়দের ক্ষেত্রেও ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে।
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় না জানার ফলে এর জ্বর যদি শিশুর দীর্ঘ সময়ের জন্য থেকে যায় তাহলে সাধারণভাবে চিকিৎসা করানো যাবে না। চিকিৎসকের কাছে যেয়ে ব্লাড ক্যান্সার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
শিশুরা ব্লাড ক্যান্সারে কিভাবে আক্রান্ত হয়
শিশুরা অনেকভাবেই ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। যদিও আলাদা করে কোন কারণ নেই তারপরেও যদি শিশু কোন ধরনের অসুস্থতায় ভুগে থাকে, তাহলে শিশু সেই রোগের সাথে রোগকে প্রতিরোধ করতে যেয়ে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন কিছু শিশু রয়েছে যারা জন্মগতভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম থাকে।
সেইসব শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ না জানলে সেইক্ষেত্রে অনেক সময় ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিশুর পরিবারের যদি পূর্বেই কেউ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত থেকে থাকে, তাহলে শিশুটির মধ্যেও সেই ব্লাড ক্যান্সারের প্রভাব দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাকে অনেক সময় লিফ্রুমেনি সিনড্রোম বলা হয়ে থাকে।
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় না জানলে বংশগত ক্যান্সারের প্রবণতার দিকে ধাবিত করে। এই ধরনের সমস্যা মূলত জিনগত সমস্যার কারণে হতে পারে। যদি তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংস্পর্শে চলে যায় তাহলে অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ অর্থাৎ বেনজিনের সংস্পর্শে যাওয়ার সাথে সাথেই ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার কি ভালো হয়
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার খুবই জটিলতর একটি রোগ যা লিউকেমিয়া নামে অনেক পরিচিত। এইরোগ শুধু শিশুদেরই নয় বরং বড়দের মধ্যেও হয়ে থাকে। শিশুর যিনি অভিভাবক রয়েছেন সে যদি শিশুর ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং শিশুকে যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারেন তাহলে শিশুর ব্লাড ক্যান্সার ভালো হতে পারে।
কিন্তু সেইক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যামোথেরাপি দেয়া লাগতে পারে এবং কিছু প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে। সেই বিষয়ে অভিভাবকের খুব ভালোভাবে জ্ঞান থাকাটা জরুরী। চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি ও স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন দেয়া লাগতে পারে।
এছাড়াও ব্লাড ক্যান্সার থেকে ভালো রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ক্ষতিকারক পদার্থ এর সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখা এবং বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দূরত্ব করে রাখতে হবে। ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। সূর্যরশ্মির বিকিরণ থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে।
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় জেনে নিয়ে শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারকে যদি আপনি ভালো করতে চান তাহলে এইভাবে ধীরে ধীরে নিয়ম অনুযায়ী ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে।
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় কি
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ জেনে নিয়ে শিশুদেরকে ব্লাড ক্যান্সার থেকে যদি নিরাময় করতে চান তাহলে অবশ্যই শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় সেই বিষয়গুলো নিচে দেয়া হলো -
শিশুর খাদ্যাভাস ও পরিবেশ উন্নত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
কেমিক্যাল ও আর্সেনিকযুক্ত অথবা ভেজালযুক্ত খাবার থেকে দূরে রাখতে হবে।
বায়ু দূষণ এবং অতিরিক্ত হর্ন বাজানো ইত্যাদ বিষয়গুলো থেকে শিশুদের দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
শিশুর বাবা মা যদি ধূমপানে আসক্ত হয়ে থাকে তাহলে শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় ধূমপান আসক্ত থেকে ফিরে আসতে হবে।
শিশুর ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ খুব বেশি গুরুতর হয়ে পড়লে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার হলে অবশ্যই চিকিৎসার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। কারণ প্রাথমিকভাবে আপনি যদি শিশুর চিকিৎসা ভালোভাবে না করেন, তাহলে পর্যায়ে অনুসারে শিশুর অবস্থা খারাপ দিকেও চলে যেতে পারে। অনেক সময় চিকিৎসকরা কোষে ব্লাড ক্যান্সারের উপস্থিতি দেখতে না পাওয়ায় খুব বেশি দেরি হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা করে তবে এই ক্ষেত্রে পরীক্ষাগুলো ভালোভাবে করিয়ে নিলে ব্লাড ক্যান্সার শনাক্ত সহজ হয়ে যায়। বেশির ভাগ শিশুদেরই রোগ নিরাময় করতে সুবিধা হয়। শিশুদের লিউকেমিয়া হলে কেমোথেরাপি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। অনেক সময় পেশীতে ইনজেকশন দেওয়া লাগতে পারে কেমোথেরাপি গুলো অনেক সময় বিশ্রামের মাধ্যমে দেয়া হয়ে থাকে।
শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় হল তীব্র মাইলয়েড লিউকেমিয়ার জন্য কেমোথেরাপির সাধারণত উচ্চতর ডোজ দেওয়া হয়। এছাড়াও তীব্র লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়ার জন্য কেমোথেরাপি সাধারণত দুই বছর ধরেও দেয়া লাগতে পারে। এই কেমোথেরাপি গুলো অস্থিমজ্জা এবং ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করে দেয়।
পুনরায় কোষগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করার ফলে কেমোথেরাপির যেই উচ্চমাত্রা শিশুকে দেয়া হয় অনেক সময় শিশুরা এটি সহ্য করে নিতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ধরনের থেরাপি ওষুধ ধীরে ধীরে ব্যবহার করলে ব্লাড ক্যান্সার থেকে অনেকটুকু নিরাময় পেতে পারে।
শেষকথা
এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি শিশুদের ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারলেন। শিশুদের ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধের বিষয়গুলো যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আশেপাশের সবাইকে সচেতন করুন। পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে আমাদের পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url