কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি - কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কত বছর ধরে বিদ্যমান
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? আমরা বেশিরভাগ মানুষ এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিনা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবে রূপ দেওয়া। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? এই বিষয়টি জানা থাকলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন। এই আর্টিকেলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? বিষয়টি জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি - কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কত বছর ধরে বিদ্যমান
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কত বছর ধরে বিদ্যমান
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপর নাম কি
- শেষ কথা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? এই বিষয়টি জানার আগে আমাদেরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিয়ে নিতে হবে। কারণ আপনি যদি একটি বিষয় এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান কিন্তু ওই বিষয়টি আসলে কি? সেটি না জানেন তাহলে ইতিহাস জেনে কোন লাভ হবে না। তাই চলুন প্রথমে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ মহিলাদের ২১ টি ঘরে বসে ইনকাম করার উপায়
আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা। সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজ করে মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তাশক্তির উপর নির্ভর করে। এটি মানুষের চিন্তাশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তাকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে যে কোন ধরনের যন্ত্রের মাধ্যমে সেই কাজটিকে বাস্তবে রূপ দেয়।
কম্পিউটার দ্বারা পরিচালিত যেকোনো ধরনের কাজ মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সম্পন্ন করে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শিক্ষা দিয়ে থাকে কিভাবে কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার তৈরি করতে হয়। বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে আমাদের বেশ কিছু কাজ অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের চিন্তা করার আগেই সম্পূর্ণ করে ফেলে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি
আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাধারণত মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তাশক্তির উপর নির্ভর করে যে কোন ধরনের কাজ সম্পন্ন করে থাকে। সাধারণত বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাড়া এই কাজগুলো মানুষের করতে অনেক সময় প্রয়োজন হয় কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সেই কাজগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই সঠিকভাবে করা সম্ভব। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? এ সম্পর্কে আমাদের সকলের জেনে রাখা উচিত।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? এ বিষয়টি বলতে গেলে আমাদের প্রাচীনকালের কথা মনে করতে হবে। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস শুরু হয় প্রাচীনকালের বিভিন্ন ধরনের গুজব কৃত্রিম জিনিসের ব্যবহার এবং সৃষ্টিকর্তাকে টেক্কা দেওয়ার পূর্ববর্তী মানুষের ইচ্ছা থেকে এটি শুরু হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই বীজ প্রাচীন দার্শনিকদের দাঁড়ায় প্রথম জাগা দিয়ে ওঠে।
সাধারণত অনেক প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের চিন্তা ভাবনাকে যান্ত্রিক কাজে কিভাবে ব্যবহার করা হয় এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছিল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নের ব্যাপারে ১৯৪০ সালের প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার এর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। সাধারণত এই পরিকল্পনা গুলো কিছু বিজ্ঞানীদের কৃত্রিম মস্তিষ্ক বিষয় এর উপরে অনুপ্রাণিত।
১৯৫৬ সালে ডার্টমাউথ তার কলেজের একটি কক্ষে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই ব্যক্তিবর্গ গুলো হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণার প্রতিষ্ঠাতা। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো অ্যালেন নিউয়েল {সিএমইউ}, হারবার্ট সিমন {সিএমইউ}, জন ম্যাকার্থি {এমআইটি}, মার্ভিন মিনস্কি {এমআইটি}, আর্থার স্যামুয়েল {আইবিএম} সাধারণত এরাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা চালিয়েছিল।
এই সকল শিক্ষকরা এবং তাদের ছাত্ররা যেই প্রোগ্রামটি তৈরি করেছিলেন সাধারণত সেটিকে সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয় "বিস্ময়কর" সাধারণত এটি হিসাব এর জন্য কাজ করেছিল। তখনকার সময় হিসাবে বর্ণনা করেছিল কম্পিউটার চেকারদের মধ্যে বিজয়ী হয়। সাধারণত এই আবিষ্কারটি বীজগণিতের মধ্যে শব্দের সমস্যার সমাধান করে।
৮০ এর দশকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণার বিষয়টি নতুন ভাবে মাথাচারা দিয়ে ওঠে। সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিটেকটি পরিকল্পনা ছিল। তারা এটিকে এমন ভাবে তৈরি করতে চেয়েছিল যেন তারা খুব সহজেই শত্রুদের চোখে ফাঁকি দিয়ে তাদের আস্তানায় প্রবেশ করে তাদের তথ্যগুলো সংগ্রহ করে নেওয়ার জন্য। আশা করি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছেন।
১৯৮০ দশকের শুরুতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা বিশেষজ্ঞ সিস্টেমটি বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য অর্জন করে আবার পুনরুজ্জীবিত হয়েছিল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রোগ্রামের একটি ফর্ম যা মানুষের বিশেষজ্ঞের জ্ঞান এবং যেকোনো ধরনের দক্ষতাকে অনুকরণ করে। ১৯৮৫ সালের দিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজার মূল্য এক বিলিয়ন ডলার এর বেশি হয়েছিল।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কত বছর ধরে বিদ্যমান
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো বর্তমান সময়ে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। অনেকে মনে করে থাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নতুন ভাবে মানুষের মাথায় এসে যায় কিন্তু এমনটা নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রাচীনকাল থেকেই তৈরি করার গবেষণার কাজ চলছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কত বছর ধরে বিদ্যমান এ বিষয়টি জানলে আপনি খুব সহজেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট - অনলাইন ইনকাম সাইট
চিন্তা করতে সক্ষম এরকম কৃত্রিম মানুষ মূলত গল্প বলার জন্যই যন্ত্র হিসেবে এটি তৈরি করা হয়েছিল। সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তার শক্তিকে বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে বাস্তবে রূপ দিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজে থেকেই বেশ কিছু বিষয় ধারণা করতে পারে এবং নিজে থেকেই কাজ করতে পারে।
অ্যালান ম্যাথিসন টুরিং ১৯৫০ সালে একটি গবেষণা পত্রে উল্লেখ করেন যে কোন যন্ত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা করার জন্য তিনি টুরিং পরীক্ষা নামে একটি প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেন। সাধারণত এটি একটি গেম এটিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভিত্তির ওপর নির্ভর করেই তৈরি করা হয়েছে। যবে থেকে ডিজিটাল কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে সাধারণত তখন থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চলতে আছে।
কারণ কম্পিউটার বিজ্ঞানের অন্যতম একটি অংশ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজ করে থাকে কম্পিউটার বিজ্ঞান এর উপর নির্ভর করে। কারণ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম এখানে দেওয়া থাকে সাধারণত সেগুলোর উপর নির্ভর করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজ করে। ১৯৫৬ সালে ডার্ক মাউথ একটি কর্মশালায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে বিশাল ভূমিকা রাখে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপর নাম কি
উপরের আলোচনা থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? এ বিষয়টি আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো মানুষের আবিষ্কার। কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষের থেকেও বেশি কার্যকরী হয়ে উঠেছে এটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়েই কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকে। যে কাজ মানুষের করতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অল্প সময়ের মধ্যে করে দেয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলা হয়। সাধারণত এই শব্দ দুটির বাংলা অর্থ হলো বৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট হলো বর্তমানে সময় সবথেকে পরিচিত দুটি শব্দ। কারণ এই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটির অপব্যবহার করে আসছে মানুষ। সাধারণত এর উপকারিতার জন্যই এটিকে তৈরি করা হয়েছে কিন্তু মানুষ এর অপকারিতা গুলো বেশি ব্যবহার করছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি - কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কত বছর ধরে বিদ্যমানঃ শেষ কথা
প্রিয় পাঠকগণ আজকের আর্টিকেলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস কি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কত বছর ধরে বিদ্যমান? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপর নাম কি? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করার আগে অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে জানার আগে এ বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নেবেন।
আরো পড়ুনঃ ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম করার ১৯ টি সেরা উপায়
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।২৫৪২৭
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url