OrdinaryITPostAd

শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ

শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ যেমন পিঠে এবং তলপেটে ব্যথা করতে পারে। এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ কিভাবে হয়ে থাকে। ইউরিন এবং কোমরের নিচেও ব্যথা অর্থাৎ শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ।
বিশেষ করে কিডনিতে স্টোনের জন্য ইউরিনের যেই ব্যথা হয় সেটি হওয়ার ফলে ব্লাডও আসতে পারে এবং ইউরিন করাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আপনার শরীরে যদি ক্যালসিয়াম, ইউরিক এসিড এবং ফসফেটের মাত্রা অনেক বেশি হয়ে যায়, তাহলে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। যাদের পানি কম খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে সেইক্ষেত্রেও এই সমস্যা হতে পারে।

পেজ সূচিপত্র

কিডনি স্টোন কি

কিডনি স্টোন সার্জারি অপসারণ করার মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইউরোলজি অর্থাৎ জটিল ইউরোলজিক্যাল সার্জারি এর মাধ্যমে করা হয়। শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ প্রকাশ পেলে পারকুটেনিয়াস নেফ্রোলিথোটমি একটি অপারেশন রয়েছে যার মাধ্যমে কিডনি থেকে এই স্টোনগুলোকে অপসারণ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ লেবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনের ফলে কিডনিতে যেই পাথর তৈরি হয় এর প্রধান কারণই হচ্ছে এটি। যদি কখনো কিডনিতে একবার স্টোন হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে স্টোন আবারও হতে পারে। ছোট কাকড়ের মতো স্টোন অনেক সময় প্রস্রাবের মাধ্যমেও বের হয়ে আসতে পারে।

কিডনি স্টোন কাদের বেশি হয়

আপনি শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ যদি ফসফেট ক্যালসিয়াম এবং ইউরিক এসিড জাতীয় খাবার বেশি খেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার শরীরে ফসফেট ক্যালসিয়াম এবং ইউরিক এসিডের মাত্রা অনেক বেশি তৈরি হতে পারে যার ফলে শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং আপনার কিডনিতে ধীরে ধীরে স্টোন তৈরি হতে পারে। 

অনেকের ক্ষেত্রেই আবার যারা পানি কম খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। সেই সব লোকদের ক্ষেত্রেও কিডনির স্টোন অনেক বেশি হয়। আপনার ওজন ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে, সাথে জ্বর হয় তাহলেও কিডনিতে স্টোন হতে পারে। এছাড়াও বমি বমি ভাব প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্ত বের হওয়া এবং তলপেটে যদি অনেক বেশি ব্যথা হয় তাহলেও কিডনির স্টোন হতে পারে।

কিডনি স্টোন কেন হয়

মানব শরীরের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে কিডনি যার মাধ্যমে আপনার শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায়। আর সেখানেই যদি কিডনি স্টোন হয়ে যায় তাহলে সেটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়। কিডনি স্টোন মানবদেহে ধীরে ধীরে তৈরি হয়।

শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। চলুন জেনে আসি কিডনি স্টোন মানবদেহে কেন সৃষ্টি হয়ে থাকে।

  • প্রস্রাব অনেক বেশি ঘন হয়ে গেলে স্টোনের কনা জমে যেয়ে হতে পারে।
  • আপনি যদি পানি কম খান তাহলে ডিহাইড্রেশনের ফলে স্টোন হয়ে যেতে পারে।
  • যারা গরমের মধ্যে কাজ করে তারা যদি পানি পরিমিত পরিমাণে না খেয়ে থাকেন, তাহলে শরীরে পানির পরিমাণ কমে স্টোন ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে।
  • বিশেষ করে মরুভূমির দেশগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে কিডনি রোগের সংখ্যা বেশি। 
  • কারণ পানির অভাবে আপনার প্রস্রাবে যখন সংক্রমণ হয়ে যায়, তখন সেটি থেকে পাথর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
  • আপনার শরীরে কিছু খনিজ উপাদান রয়েছে যেগুলো স্টোন তৈরিতে বাধা দেয়ার ফলে যদি প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় তাহলেও কিডনিতে স্টোন হতে পারে।
  • আপনার প্রস্রাবে যদি ম্যাগনেসিয়াম, সাইট্রেট, জিংক ইত্যাদি এর পরিমাণ যদি কমে যেতে থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে আপনার কিডনিতে স্টোন তৈরি হতে পারে।
  • আপনার প্রস্রাবে ইউরিক এসিড এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেশি হলেও স্টোন তৈরি হতে পারে।
  • যদি কোনো কারণে মূত্র প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় তাহলে স্টোন তৈরির আশঙ্কা থাকে।
  • শিশুদের জন্মগত মেটাবলিক এর কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
  • এছাড়াও আপনার প্রস্রাবের নালী এবং মূত্রথলি যদি নিচের দিকে নেমে আসে তাহলেও কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ

আপনার শরীরের যদি কোমরের নিচের দিকে ব্যথা হয়, পিঠে ব্যথা হয়, তলপেটে ব্যথা হয় ও আপনি প্রস্রাব করতে যেয়ে যদি ব্যথা পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কিডনিতে স্টোনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে এটি আপনাকে বুঝতে হবে। শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ প্রকাশ পায়।

আপনি যখন প্রস্রাব করতে যাবেন, তখন ব্যথাটা অনেক বেশি অসহ্য আকারে হতে পারে। কখনো কখনো প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হয়ে আসতে পারে এবং প্রস্রাব বন্ধও হয়ে যেতে পারে। যদি আপনার কিডনিতে স্টোনের লক্ষণ ধরা পড়ে তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে।

প্রথমদিকে এই স্টোন অনেকটা বালির মতো আকার থাকলেও পরবর্তীতে স্টোনের আকার ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে যদি আপনি এই সময়ে সতর্ক না থাকেন তাহলে খুব বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে কারণ এই কিডনি স্টোনের ব্যথা বেশিরভাগ লোকই সহ্য করতে পারে না। তাই প্রথম থেকেই এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।

কিডনি স্টোন অপারেশন কিভাবে করে

অপারেশনের মাধ্যমেও কিডনির স্টোনকে দূরে সরিয়ে ফেলা যায়। ইউরোলজিক্যাল এমন একটি পদ্ধতি রয়েছে যা মূত্রাশয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে। রেট্রোগ্ৰেড পেলোগ্রাম নামের একটি ইউরো পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে কিডনির স্টোন কোন জায়গাতে অবস্থান করছে তা আগে বুঝা হয়।

আপনার শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ হলে তলপেটে একটি ছোট ছিদ্র করা হয় বিশেষ করে এক সেন্টিমিটার মাপ নিয়ে এটি করা হয়। তারপর পিসিএনএল নিডল বা ছূচ এর মাধ্যমে কিডনির পেলভিসে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য ফলুরোস্কোপির মাধ্যমে আপনার পেটের ভিতর ছবি খুব ভালোভাবে দেখা যায়।

বিশেষ করে যেই নিডলকে আপনার পেলভিসের ভিতর ঢুকানো হয়েছে সেই নিডলের অবস্থান দেখা যায়। নিডলের এর সাথে গাইড ওয়্যার ডাইলেটর রয়েছে যা দিয়ে কোন নালী বড় করা যায়। এরপর সেই নিডলকে বের করে ফেলে দিয়ে গাইড ওয়্যার এর মাধ্যমে পেলভিসের নালীগুলোকে পাঠিয়ে দিয়ে ডাইলেটরের ঢাকনার মাধ্যমে বসিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ প্রেশার লো হলে করণীয় কি হবে

টিউবের মতো একটি যন্ত্রের মাধ্যমে কিডনির যেই বিভিন্ন অংশ রয়েছে সেগুলো পরীক্ষা করতে থাকে। এছাড়াও নেফ্রোস্কোপের মাধ্যমে ধীরে ধীরে কিডনি থেকে সেই স্টোনগুলোকে বের করা হয়। যদি কোনো কারণে স্টোন অনেক বেশি বড় হয়ে যায়, তাহলে আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা হয়।

শব্দ তরঙ্গ এর মাধ্যমে সেই স্টোনগুলিকে ভেঙে ফেলা হয় এবং ধীরে ধীরে স্টোনগুলিকে বের করা হয়। পিসিএনএল পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্লেক্সিবেল টেলিস্কোপ ব্যবহার করে কিডনির ভিতরে প্রবেশ করলে একাধিক স্টোনকেও শনাক্ত করা যায়। যার ফলে এই স্টোনগুলোকে অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করা সহজ হয়।

প্রাকৃতিকভাবে কিডনি স্টোনকে অপসারণের উপায়

কিডনিতে একবার স্টোন হয়ে গেলে তা সরানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে হয়তোবা অপারেশনের মাধ্যমে অনেকেই এই কিডনির স্টোনকে ফেলতে পারে।

আপনি চাইলে কোন রকম অপারেশন ছাড়াই আপনি চাইলে প্রাকৃতিকভাবেও এই কিডনির স্টোনকে অপসারণ করতে পারেন যেমন,

১। বেশি করে পানি খাওয়াঃ 
আপনি আপনার শরীরে হাইড্রেশনের মাত্রাকে ঠিক রাখতে চান, তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এই পানির মাধ্যমে আপনার শরীরের খনিজ ও পুষ্টি উপাদান গুলো দ্রবীভূত হতে খুবই সাহায্য করে। যা হজম ও শোষণ প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখে।

আপনার শরীরের অপ্রয়োজনীয় টক্সিনকে বের করে দিয়ে কিডনিকে ভালো রাখে। কিডনিতে যাদের পাথর হয়ে গিয়েছে তাদের নিয়মিত প্রতিদিন সাত থেকে আট গ্লাস পানি খেতে হয় যাতে প্রস্রাবের মাধ্যমে এই স্টোনগুলো বের হয়ে যেতে পারে।

২। লেবু ও অলিভ অয়েলঃ 
লেবুর রস এবং অলিভ অয়েল এই দুটিকে একসাথে মিশ্রণ করে যদি খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীর থেকে কিডনির পাথর খুব দ্রুত অপসারণ হতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে কিডনি থেকে পাথর অপসারণের জন্য এর সাথে পানিও খাওয়া উচিত। লেবুর রস আপনার কিডনিতে পাথরকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। কোন রকম সমস্যা ছাড়াই অলিভ অয়েলও আপনার শরীরে প্রাকৃতিকভাবে কাজ করে থাকে।

৩। ডালিমের রসঃ 
আপনি যদি কখনো ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনে যেয়ে থাকেন তাহলে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ডালিম অতি পুষ্টিকর একটি সমৃদ্ধ ফল। কারণ ডালিমের রসে যেই পরিমাণে প্রাকৃতিক পানীয় বিদ্যমান রয়েছে। যা হাইড্রেট রাখতে আপনার শরীরে খুবই ভালো কাজ করে এবং প্রাকৃতিক ভাবেই স্টোন অপসারণ করে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪। ভুট্টার ভুসিঃ 
কিডনির স্টোনকে দূর করে দিতে ভুট্টার গায়ে লেগে থাকা যেই রেশন রয়েছে, সেটি খুবই কার্যকরী হয়ে থাকে। ভুট্টার চুল আপনি যদি পানিতে সিদ্ধ করে খেতে পারেন, তাহলে আপনার কিডনিতে নতুন করে যেই স্টোন তৈরি হয় সেটি তৈরিতে অনেক বেশি বাধা দিয়ে থাকে। এটি আপনার কিডনিতে স্টোন থাকার ফলে যেই ব্যথা হয় সেটিও কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে।

৫। বিছুটি জাতের গাছঃ 
বিছুটি জাতের গাছ অনেক দিন ধরেই কিডনি স্টোন প্রতিরোধে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশেষ করে এই বিছুটি জাতের গাছ ইউরোপের দেশগুলোতে অনুমোদন দেয়ার ফলে অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। এই বিছুটি জাতের গাছে অতি উচ্চমাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।

যা কিডনিতে পাথর সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করে থাকে। আপনার মূত্রনালীতে যদি কোন ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়, সেটিকেও প্রতিরোধ করতে পারে। এই গাছ আপনি চায়ের সঙ্গে পান করতে পারেন। গর্ভবতী নারী এবং আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে তাহলে বিছুটি জাতের গাছ না পান করাই উত্তম।

৬। বিটের রসঃ 
আপনার কিডনিকে পরিষ্কার রাখার কাজে বীট রস অনেক বেশি কাজ করে থাকে। কারণ বিটের রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় এটি প্রস্রাবের অ্যাসিডিটিকে বৃদ্ধি করে দেয়। যার ফলে কিডনির পাথরগুলো অপসারণ করতে অনেক সাহায্য করে।

৭। বনফুলের চাঃ 
আপনি কি কখনো বনফুলের চা খেয়ে দেখেছেন? অনেকেই এটিকে খেতে পারেনা। অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করে থাকে কিন্তু বনফুল খাওয়া কিডনির জন্য যে কতটা উপকারী তা হয়তো অনেকেই জানেনা। বনফুলের চা এর মধ্যে ভিটামিন এ, সি, ডি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, লোহা ও পটাশিয়াম অনেক বেশি পরিমাণে থাকে।

যা আপনার মূত্রাশয়ে প্রস্রাবে সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে আমেরিকায় কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য এই বনফুলকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যা কিডনির পাথর অপসারণ করতেও সাহায্য করে।

৮। মেথি ও কালিজিরা বীজঃ 
মেথি ও কালিজিরার বীজ কিডনি প্রতিরোধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই বীজগুলো যখন কিডনিতে জমা হয় তখন স্টোনকে ধীরে ধীরে প্রতিরোধ করে। ফুটানো জলে এক থেকে দুই চামচ মেথি বীজ খেতে পারেন।

শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ যার মাধ্যমে কালিজিরার বীজ কিডনিতে ক্যালসিয়াম গঠনে বাধা প্রদান করে। হালকা গরম পানিতে হাফ চা চামচ শুকনো কালিজিরা ভিজিয়ে রাখতে পারেন। দিনে দুই থেকে তিনবার পান করতে পারেন।

কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট কি

কিডনিতে স্টোন হলে আপনি অনেক ভাবেই ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। সেটি হতে পারে অপারেশনের মাধ্যমে অথবা প্রাকৃতিক উপায়ে। যদি এই কিডনির পাথর চার মিলিমিটার থেকেও ছোট হয় তাহলে এটি প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখতে পারে। কিন্তু এই কারণে অনেক সময় রোগীদের বেশি বেশি পানি খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে।

আবার অনেককেই ব্যথার ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কয়েক সপ্তাহ এইভাবে যাওয়ার পরে এক্সরে করতে দেয়া হয় অথবা সিটি স্ক্যান দেয়া হতে পারে। কিডনির ভেতরে যেই পাথর রয়েছে তা কি বের হয়েছে কিনা। আপনি যদি ছাকুনির মধ্যে প্রস্রাব করেন তাহলে অনেক সময় এই পাথর আপনি দেখতে পাবেন।
প্রস্রাবের সঙ্গে জমাট বাধা রক্তের মতো করে কিছু একটা বের হয়ে যায়। কিডনি থেকে যদি ছোট আকারের পাথরকে আপনি অপসারণ করতে চান তাহলে অনেক সময় মিনিম্যাল ইনভেসিভ পদ্ধতিকেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ফ্লেক্সিবেল ইউরেটেরোস্কোপ দিয়ে কিডনিতে লেজারের মাধ্যমে পাথরকে গুড়া করে বের করে আনা হতে পারে।

শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ যা কিডনিতে পাথর অপসারণের জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো পিসিএনএল। এর মাধ্যমে পিঠের দিকে একটি ছোট ছিদ্র করে পাথর ভেঙে বের করে আনা হয়। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই কিডনির স্টোনকে বের করে আনার জন্য এই পদ্ধতিটিই ব্যবহার করে থাকে।

শেষকথা

আশা করছি, এই পোস্টের মাধ্যমে শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ যা আপনার ধারণা পেতে সহজ হয়েছে। যদি কিডনি স্টোনের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আশেপাশের সকলকে সচেতন করুন। পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে আমাদের পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩