শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ
পেজ সূচিপত্র
- কিডনি স্টোন কি
- কিডনি স্টোন কাদের বেশি হয়
- কিডনি স্টোন কেন হয়
- শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ
- কিডনি স্টোন অপারেশন কিভাবে করে
- প্রাকৃতিকভাবে কিডনি স্টোনকে অপসারণের উপায়
- কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট কি
- শেষকথা
কিডনি স্টোন কি
কিডনি স্টোন সার্জারি অপসারণ করার মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইউরোলজি অর্থাৎ জটিল ইউরোলজিক্যাল সার্জারি এর মাধ্যমে করা হয়। শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ প্রকাশ পেলে পারকুটেনিয়াস নেফ্রোলিথোটমি একটি অপারেশন রয়েছে যার মাধ্যমে কিডনি থেকে এই স্টোনগুলোকে অপসারণ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ লেবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনের ফলে কিডনিতে যেই পাথর তৈরি হয় এর প্রধান কারণই হচ্ছে এটি। যদি কখনো কিডনিতে একবার স্টোন হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে স্টোন আবারও হতে পারে। ছোট কাকড়ের মতো স্টোন অনেক সময় প্রস্রাবের মাধ্যমেও বের হয়ে আসতে পারে।
কিডনি স্টোন কাদের বেশি হয়
আপনি শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ যদি ফসফেট ক্যালসিয়াম এবং ইউরিক এসিড জাতীয় খাবার বেশি খেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার শরীরে ফসফেট ক্যালসিয়াম এবং ইউরিক এসিডের মাত্রা অনেক বেশি তৈরি হতে পারে যার ফলে শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ প্রকাশ পায় এবং আপনার কিডনিতে ধীরে ধীরে স্টোন তৈরি হতে পারে।
অনেকের ক্ষেত্রেই আবার যারা পানি কম খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। সেই সব লোকদের ক্ষেত্রেও কিডনির স্টোন অনেক বেশি হয়। আপনার ওজন ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে, সাথে জ্বর হয় তাহলেও কিডনিতে স্টোন হতে পারে। এছাড়াও বমি বমি ভাব প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্ত বের হওয়া এবং তলপেটে যদি অনেক বেশি ব্যথা হয় তাহলেও কিডনির স্টোন হতে পারে।
কিডনি স্টোন কেন হয়
মানব শরীরের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে কিডনি যার মাধ্যমে আপনার শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায়। আর সেখানেই যদি কিডনি স্টোন হয়ে যায় তাহলে সেটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়। কিডনি স্টোন মানবদেহে ধীরে ধীরে তৈরি হয়।
শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। চলুন জেনে আসি কিডনি স্টোন মানবদেহে কেন সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- প্রস্রাব অনেক বেশি ঘন হয়ে গেলে স্টোনের কনা জমে যেয়ে হতে পারে।
- আপনি যদি পানি কম খান তাহলে ডিহাইড্রেশনের ফলে স্টোন হয়ে যেতে পারে।
- যারা গরমের মধ্যে কাজ করে তারা যদি পানি পরিমিত পরিমাণে না খেয়ে থাকেন, তাহলে শরীরে পানির পরিমাণ কমে স্টোন ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে।
- বিশেষ করে মরুভূমির দেশগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে কিডনি রোগের সংখ্যা বেশি।
- কারণ পানির অভাবে আপনার প্রস্রাবে যখন সংক্রমণ হয়ে যায়, তখন সেটি থেকে পাথর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
- আপনার শরীরে কিছু খনিজ উপাদান রয়েছে যেগুলো স্টোন তৈরিতে বাধা দেয়ার ফলে যদি প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় তাহলেও কিডনিতে স্টোন হতে পারে।
- আপনার প্রস্রাবে যদি ম্যাগনেসিয়াম, সাইট্রেট, জিংক ইত্যাদি এর পরিমাণ যদি কমে যেতে থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে আপনার কিডনিতে স্টোন তৈরি হতে পারে।
- আপনার প্রস্রাবে ইউরিক এসিড এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেশি হলেও স্টোন তৈরি হতে পারে।
- যদি কোনো কারণে মূত্র প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় তাহলে স্টোন তৈরির আশঙ্কা থাকে।
- শিশুদের জন্মগত মেটাবলিক এর কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
- এছাড়াও আপনার প্রস্রাবের নালী এবং মূত্রথলি যদি নিচের দিকে নেমে আসে তাহলেও কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ
আপনার শরীরের যদি কোমরের নিচের দিকে ব্যথা হয়, পিঠে ব্যথা হয়, তলপেটে ব্যথা হয় ও আপনি প্রস্রাব করতে যেয়ে যদি ব্যথা পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কিডনিতে স্টোনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে এটি আপনাকে বুঝতে হবে। শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ প্রকাশ পায়।কিডনি স্টোন অপারেশন কিভাবে করে
অপারেশনের মাধ্যমেও কিডনির স্টোনকে দূরে সরিয়ে ফেলা যায়। ইউরোলজিক্যাল এমন একটি পদ্ধতি রয়েছে যা মূত্রাশয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে। রেট্রোগ্ৰেড পেলোগ্রাম নামের একটি ইউরো পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে কিডনির স্টোন কোন জায়গাতে অবস্থান করছে তা আগে বুঝা হয়।
আপনার শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ হলে তলপেটে একটি ছোট ছিদ্র করা হয় বিশেষ করে এক সেন্টিমিটার মাপ নিয়ে এটি করা হয়। তারপর পিসিএনএল নিডল বা ছূচ এর মাধ্যমে কিডনির পেলভিসে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য ফলুরোস্কোপির মাধ্যমে আপনার পেটের ভিতর ছবি খুব ভালোভাবে দেখা যায়।
বিশেষ করে যেই নিডলকে আপনার পেলভিসের ভিতর ঢুকানো হয়েছে সেই নিডলের অবস্থান দেখা যায়। নিডলের এর সাথে গাইড ওয়্যার ডাইলেটর রয়েছে যা দিয়ে কোন নালী বড় করা যায়। এরপর সেই নিডলকে বের করে ফেলে দিয়ে গাইড ওয়্যার এর মাধ্যমে পেলভিসের নালীগুলোকে পাঠিয়ে দিয়ে ডাইলেটরের ঢাকনার মাধ্যমে বসিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ প্রেশার লো হলে করণীয় কি হবে
টিউবের মতো একটি যন্ত্রের মাধ্যমে কিডনির যেই বিভিন্ন অংশ রয়েছে সেগুলো পরীক্ষা করতে থাকে। এছাড়াও নেফ্রোস্কোপের মাধ্যমে ধীরে ধীরে কিডনি থেকে সেই স্টোনগুলোকে বের করা হয়। যদি কোনো কারণে স্টোন অনেক বেশি বড় হয়ে যায়, তাহলে আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা হয়।
শব্দ তরঙ্গ এর মাধ্যমে সেই স্টোনগুলিকে ভেঙে ফেলা হয় এবং ধীরে ধীরে স্টোনগুলিকে বের করা হয়। পিসিএনএল পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্লেক্সিবেল টেলিস্কোপ ব্যবহার করে কিডনির ভিতরে প্রবেশ করলে একাধিক স্টোনকেও শনাক্ত করা যায়। যার ফলে এই স্টোনগুলোকে অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করা সহজ হয়।
প্রাকৃতিকভাবে কিডনি স্টোনকে অপসারণের উপায়
কিডনিতে একবার স্টোন হয়ে গেলে তা সরানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে হয়তোবা অপারেশনের মাধ্যমে অনেকেই এই কিডনির স্টোনকে ফেলতে পারে।১। বেশি করে পানি খাওয়াঃ
২। লেবু ও অলিভ অয়েলঃ
৩। ডালিমের রসঃ
৪। ভুট্টার ভুসিঃ
৫। বিছুটি জাতের গাছঃ
৬। বিটের রসঃ
৭। বনফুলের চাঃ
৮। মেথি ও কালিজিরা বীজঃ
কিডনি স্টোন ট্রিটমেন্ট কি
কিডনিতে স্টোন হলে আপনি অনেক ভাবেই ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। সেটি হতে পারে অপারেশনের মাধ্যমে অথবা প্রাকৃতিক উপায়ে। যদি এই কিডনির পাথর চার মিলিমিটার থেকেও ছোট হয় তাহলে এটি প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখতে পারে। কিন্তু এই কারণে অনেক সময় রোগীদের বেশি বেশি পানি খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে।শেষকথা
আশা করছি, এই পোস্টের মাধ্যমে শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ যা আপনার ধারণা পেতে সহজ হয়েছে। যদি কিডনি স্টোনের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আশেপাশের সকলকে সচেতন করুন। পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে আমাদের পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url