OrdinaryITPostAd

কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়

আপনি কি জানেন কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়? আজ আপনাদেরকে জানাব কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়, সেসব খাবার সম্পর্কে। কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় সে সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। চলুন তাহলে দেখে আসি, কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় সেই খাবার গুলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়

ভূমিকা

হাঁপানি রোগটির সাথে এলার্জির সম্পর্ক রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাঁপানি রোগীর বিভিন্ন ধরনের খাবার ও নানা রকম বস্তুতে এলার্জি সমস্যা থাকে। অনেক সময় ধুলো-ময়লা, গাড়ির কালো ধোয়া, বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা খাবার, সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের মাছ ইত্যাদি খাবারে এলার্জি সমস্যা থাকে। বেশ কিছু খাবার রয়েছে যে সমস্ত খাবার খেলে হাঁপানি সমস্যা বেড়ে যায়। আবার কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যে খাবার গুলো খাওয়ার ফলে হাঁপানি সমস্যা ভালো হয়।

আর তাই কোন কোন খাবার হাঁপানি রোগীর জন্য খাওয়া উচিত নয়, এবং কোন খাবার গুলো খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে থাকা প্রয়োজন। আজ আমরা জানব কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়। বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে হাঁপানি ভালো হয়ে থাকে, সে বিষয়ে আজ আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেখে আসি, কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় সেই সমস্ত খাবার গুলো।

কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়

হাঁপানীর সমস্যা বিভিন্ন রকম কারণ থাকে হয়ে থাকে, তবে সবথেকে বেশি হয় বংশগত কারণে। এর পাশাপাশি পরিবেশগত কারণেও হাঁপানির সমস্যা হয়ে থাকে। আজকাল অতিরিক্ত বায়ু দূষণের কারণে অনেকেই হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রকম পশু প্রাণী ও খাবারে এলার্জিজনিত সমস্যার কারণে হাঁপানির সমস্যা হচ্ছে।
বেশ কিছু খাবার খাওয়ার ফলে হাঁপানীর সমস্যা কমে, আবার নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়ার ফলে হাঁপানীর সমস্যা বাড়ে। আজকে আমরা জানতে চলেছি কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় সে সমস্ত খাবার সম্পর্কে। চলুন তাহলে ধাপে ধাপে জেনে নেই কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারঃ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারগুলো হাঁপানি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আর তাই বেশি বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গুলো খাবেন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে কমলালেবু, স্ট্রবেরি, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম, টমেটো, আঙ্গুর, আখরোট, আপেল, চর্বিহীন মাংস, ডার্ক চকলেট, মধু, লাল ক্যাপসিকাম, গাজর, গ্রিন টি, পালং শাক, পেঁয়াজ, বাদাম তেল, জলপাই, খেজুর প্রভৃতি। এ সমস্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারগুলো বেশি বেশি করে খেতে হবে, এতে করে হাঁপানি দূর করা সম্ভব।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারঃ ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার বেশি বেশি করে খেলে, হাঁপানির সমস্যা ভালো হয়।ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে, কমলার জুস, বাদাম, ডিমের কুসুম, গরুর কলিজা, দুধ, সামুদ্রিক এবং চর্বিযুক্ত মাছ, মাশরুম, ইত্যাদি খাবার গুলোতে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হয়। ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হলে হাঁপানি রোগ ভালো হয়। আর তাই বেশি বেশি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

হাঁপানি রোগ ভালো করে আদাঃ হাঁপানি রোগ ভালো করতে আদা খাওয়ার অভ্যাস রাখুন। সাধারণত শ্বাসনালীর সংকোচনের কারণে ও শ্বাসনালী ফুলে যাওয়ার কারণে হাঁপানি সমস্যা হয়। আর আদা খাওয়ার ফলে শ্বাসনালীর সংকোচন কমে এবং সেই সাথে শ্বাস নালীর প্রদাহ কমাতে বেশ কার্যকর। এজন্য আদা দিয়ে চা খেতে পারেন। অথবা আদা কুচি করে চিবিয়ে রস খেতে পারেন, এতে ভালো উপকার পাবেন।

কোন খাবার খেলে হাঁপানি বাড়ে

বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়ার ফলে হাঁপানি সমস্যা বেড়ে যায়। আর তাই হাঁপানি রোগীদের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে ও খুব লক্ষ্য রেখে খাবার খেতে হয়। কারণ বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে হাঁপানি বেড়ে যায়। হাঁপানি রোগীদের বেশ কিছু খাবারে এলার্জি সমস্যা থাকে। 
এ সমস্ত বিষয়গুলো না বুঝে খেয়ে ফেললে হঠাৎ করেই এলার্জি সমস্যা বেড়ে, সেইসাথে হাঁপানি সমস্যা ও বেড়ে যায়। আর তাই এখন আমরা আলোচনা করব, কোন খাবার খেলে হাঁপানি বাড়ে সে সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেখে আসি কোন খাবার খেলে হাঁপানি বাড়ে সে সমস্ত খাবার গুলো।

চিংড়ি মাছঃ অনেকের চিংড়ি মাছে এলার্জির সমস্যা থাকে। এর কারণ চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফাইট যা অনেকের জন্যই এলার্জির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর তাই যে সমস্ত ব্যক্তির চিংড়ি মাছে এলার্জি রয়েছে সে সমস্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে করে হাঁপানীর সমস্যা বেড়ে যায়।

ঠান্ডা খাবারঃ হাঁপানি সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার বড় একটি কারণ হলো ঠান্ডা খাবার খাওয়া। হাঁপানি রোগীদের সবসময় গরম পোশাক, গরম খাদ্য গ্রহণ করতে হয়, তা না হলে যে কোন সময় হাঁপানি বেড়ে যায়। হাঁপানি রোগীরা যে সমস্ত ঠান্ডা খাবার খেতে পারবেনা যেমন- আইসক্রিম, দই, ঠান্ডা দুধ, ঠান্ডা পানি, পনির, ইত্যাদি খাবার গুলো খেতে পারবে না। এ সমস্ত ঠান্ডা খাবার খাওয়ার ফলে হাঁপানি বেড়ে যায়।

যেসব খাবারে এলার্জি রয়েছেঃ অনেকের বিভিন্ন রকম খাবারে এলার্জি থাকে। আর তাই কোন কোন খাবারে রোগীর এলার্জি আছে সে বিষয়ে অবশ্যই জেনে থাকা জরুরি। অনেকের ইলিশ মাছ, গরুর মাংস, হাঁসের মাংস, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, কাঁকড়া, ইত্যাদি খাবারেও এলার্জির সমস্যা হয়। আর তাই যে সকল খাবারে এলার্জি রয়েছে সে সমস্ত খাবার গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। এই সব খাবার খেলে হাঁপানি বাড়ে।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের অভাবঃ যদি কারো শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় সেক্ষেত্রে হাঁপানি সমস্যা বেড়ে যায়। আর তাই ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে সক্ষম যে, সমস্ত খাবার সে সমস্ত খাবার গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে গরুর কলিজা, ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক মাছ, বাদাম ইত্যাদি।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের অভাবঃ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজন। আর তাই যে সমস্ত খাবারে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে সে সমস্ত খাবারগুলো খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। শরীরে যদি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের অভাব থাকে সেক্ষেত্রে হাঁপানি সমস্যা অত্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাপসিকাম, কমলালেবু, সবেদা, টমেটো, ইত্যাদি। আপনারা জানলেন কোন খাবার খেলে হাঁপানি বাড়ে।

হাঁপানি রোগের ৫ লক্ষণ

একজন হাঁপানি রোগীর হাঁপানি সমস্যা শুরু হওয়ার আগে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। তার মধ্যে আজ আপনাদের মাঝে আলোচনা করব হাঁপানি রোগের ৫ লক্ষণ সম্পর্কে। চলুন তাহলে দেখে আসি হাঁপানি রোগের ৫ লক্ষণ গুলো কি কি?

শ্বাস নিতে কষ্টঃ হাঁপানী রোগের প্রথম লক্ষণ হল, রোগীর শ্বাস নিতে কষ্ট। যে কোন সময় শ্বাস নিতে কষ্ট শুরু হতে পারে, এর কারণ হলো শ্বাসনালী সরু হয়ে যাওয়া। আর এ সমস্ত কারণ তখনই দেখা দেয় যখন, ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন চলাচল করতে পারে না। আর তখনই শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এটি হাঁপানির একটি লক্ষণ।

কাশিঃ হাঁপানি রোগীর অন্যতম লক্ষণের মধ্যে একটি লক্ষণ হলো কাশি। আমাদের কাশির সমস্যা হয়ে থাকে তবে, সেটি কিছুদিনের জন্য সচেতন হলে বা ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু হাঁপানীর রোগীদের ক্ষেত্রে সামান্য একটু ধুলাবালি, ধোয়া, কুয়াশা, ইত্যাদি অল্প একটু সমস্যাতেই কাশির সমস্যা উঠে যায়। এর ফলে তাদের বুক জ্বালাপোড়া করে।

বুকের ভেতর শোঁ শোঁ শব্দঃ এ সময় রোগীদের হঠাৎ করে বুকের ভেতর শোঁ শোঁ শব্দ শুরু হয় এবং তার পাশের মানুষও সে শব্দটি শুনতে পায়। এটি মূলত হাঁপানির লক্ষণ

বুকে চাপা ব্যথা অনুভবঃ এ সময় রোগীরা বুকে এক প্রকার চাপা ব্যথা অনুভব করে এবং সেই সাথে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে ও বেশ কষ্ট হয়। এমন সমস্যা মাঝে মাঝে হলেই, বুঝতে হবে এটি হাঁপানির লক্ষণ।

দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়াঃ এ সময় রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাস খুব দ্রুত ভাবে হয়ে থাকে, এতে করে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়। এ সময় ফুসফুস থেকে সম্পূর্ণরূপে বাতাস বেরিয়ে আসে, যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি খুব দ্রুত শ্বাস নিতে বাধ্য হয়। আপনারা জানলেন হাঁপানি রোগের ৫ লক্ষণ সম্পর্কে।

কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়ঃ উপসংহার

বিশ্বব্যাপী হাঁপানি সমস্যা বেড়েই চলেছে, এর জন্য দায়ী শুধুমাত্র রক্তের সম্পর্ক এমনটি নয়। এর জন্য দায়ী পরিবেশগত সমস্যা, সেই সাথে বিভিন্ন রকম এলার্জিজনিত সমস্যা। বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে এলার্জি সমস্যা বেড়ে যায়, আবার ঠিক একইভাবে নানা রকম খাবার খাওয়ার ফলে এলার্জি সমস্যা কমে আসে।
আর তাই আজ আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছি কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় এবং সেই সাথে কোন খাবার খেলে হাঁপানি বাড়ে ও হাঁপানি রোগের ৫ লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ২৫২৪২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩